Tuesday, September 21, 2010

পিএইচপি গ্রুপ হবে বাংলার টাটা

সাক্ষাৎকারে চেয়ারম্যান সুফী মিজানুর রহমানপিএইচপি গ্রুপ হবে বাংলার টাটা
অক্লান্ত পরিশ্রম, অসাধারণ মেধা, সততা ও নিষ্ঠায় নিজেকে দেশের একজন অন্যতম শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন যিনি তাঁর নাম সুফী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি এখন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান। ইংরেজি পিএইচপি শব্দের অর্থ দাঁড়ায় 'পিস হ্যাপিনেস অ্যান্ড প্রসপারিটি' বাংলায় মানে 'সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির ছায়া'। পিএইচপির স্লোগান হলো 'দেশকে সেবা দিচ্ছে নীরবে'। প্রাণখোলা হাসি ও অমায়িক ব্যবহার হলো তাঁর অন্যতম গুণ। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন গ্রামে জন্ম ৬৮ বছর বয়স্ক এই শিল্পপতির জীবন কিভাবে সমৃদ্ধ হলো তাঁর সঙ্গে কথা বলে সে কাহিনী তুলে ধরছেন কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি রফিকুল বাহার।


১৯৬৪ সালে নারায়ণগঞ্জ তুলারাম কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় ১০০ টাকা বেতনে নারায়ণগঞ্জের জালাল জুট ভ্যালি কম্পানিতে চাকরি দিয়েই তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরের বছর ১৯ মার্চ বি.কম পড়াকালীন ১৬৭ টাকা বেতনে তৎকালীন ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের (সোনালী ব্যাংক) চট্টগ্রামের লালদীঘি শাখায় জুনিয়র ক্লার্কের সরকারি চাকরি নেন। ১৯৬৭ সালে তৎকালীন ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের (পূবালী ব্যাংক) চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখায় জুনিয়র অফিসার হিসেবে যোগ দেওয়ার সময় ভাতা পেতেন ৮০০ টাকা। ৪৬ বছরের ক্যারিয়ারের সাত বছর ব্যাংকারের জীবন শেষে ব্যবসায় ঢোকেন। তাঁর গড়া প্রতিষ্ঠান পিএইচপি গ্রুপের বার্ষিক লেনদেন এখন পাঁচ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ২০০৯-১০ আর্থিক বছরে শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও আয়করসহ ৬০০ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন সরকারি কোষাগারে। এই গ্রুপের ২০টি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।
কালের কণ্ঠ : সামান্য ব্যাংকার থেকে আপনি দেশের অন্যতম শিল্পপতি। কীভাবে সম্ভব হলো?
সুফী মিজানুর রহমান : আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস, কঠিন পরিশ্রম ও সাধনা। হৃদয়ের পবিত্রতা, সততা ও বুদ্ধিমত্তা। আমি চাকরি জীবনের শুরুতে ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখায় কাজ করতাম। নিজের ব্যাংকের ক্ষতি না করে একজন আমদানি ও রপ্তানিকারক যাতে সর্বোচ্চ সুবিধা পায় এবং আয় করতে পারে সেই চেষ্টাই করতাম সব সময়। এর বিনিময়ে আমি তাদের কাছ থেকে কোনো সুবিধা নিইনি কখনো। চাকরি ছেড়ে যখন আমি ব্যবসায় এলাম তখন ওই সব আমদানি-রপ্তানিকারকরাই আমাকে বাকিতে পণ্য দিয়ে সহায়তা করতে লাগল। ব্যাংকের টাকা সময়মতো শোধ করতাম। সে কারণে আমার প্রতি ছিল বিভিন্ন ব্যাংকের গভীর আস্থা। এভাবেই আমার যাত্রা শুরু ও এগিয়ে চলা।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে যারা সহায়তা করেছেন তারা কারা?
সুফী মিজানুর রহমান : তারা প্রায় সবাই চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের। ইলিয়াছ ব্রাদার্স, জাকারিয়া ব্রাদার্স, মেসার্স ইমাম শরীফ, ডায়মন্ড করপোরেশন। তাদের কাছ থেকে চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবণ, গম ট্রাকে করে ঢাকার পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারে নিজে নিয়ে বিক্রি করতাম। বিক্রি শেষে নিজের লাভের টাকা রেখে তাদের পণ্যের দাম পরিশোধ করতাম। এভাবে আমার প্রতি তাদের আস্থা জমে যায়। দেশ স্বাধীন হলো। রাস্তাঘাট ভালো ছিল না। সব কিছুরই অভাব ছিল। ঢাকায় পণ্য পেঁৗছতে সময় লাগত সাত-আট দিন। আমার কেনা পণ্য ঢাকায় পেঁৗছার আগেই বাজারে দাম বেড়ে যেত।
কালের কণ্ঠ : যাদের নাম বলেছেন তাদের আগের মতো রমরমা ব্যবসা নেই।
সুফী মিজানুর রহমান : হ্যাঁ, আপনি এটা ঠিকই বলেছেন।
কালের কণ্ঠ : এরপর আপনি কীভাবে এগিয়ে গেলেন?
সুফী মিজানুর রহমান : একসময় পূবালী ব্যাংকে আমি বৈদেশিক বাণিজ্যের ইনচার্জ হিসেবে কাজ করেছি। নিজের কাজের প্রতি এতই নিষ্ঠাবান ছিলাম যে ৯টায় অফিস শুরু হতো। আমি যেতাম ৮টায়। ফিরতাম রাত ১০টায়। ব্যাংকের তৎকালীন ডিএমডি হাফিজুল ইসলাম ইন্সপেকশনে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করল, কয়টি এলসি হয়েছে আমার শাখায়। জবাব দিলাম এক হাজার ১৭৫টি। শুনে তিনি বিস্মিত হলেন। কারণ একক শাখা হিসেবে এটি সর্বোচ্চ এলসি। তাছাড়া পুরো টিমে আমরা ছিলাম মাত্র পাঁচজন! ব্যাংকে আমি ছিলাম আলোড়ন সৃষ্টিকারী কর্মবীর। তাছাড়া যখন ব্যাংকের ব্যালেন্স শিট মেলানো যেত না তখন আমাকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হতো। আমি সবাইকে নিজের টাকায় খাইয়ে গভীর রাতে সে হিসাবের ব্যালেন্স শিট মিলিয়ে ফেলেছি অসংখ্যবার। আমাকে ব্যাংকের ম্যানেজার উপাধি দিলেন 'প্রবলেম সলভার'।
কালের কণ্ঠ : ব্যাংকের এসব অভিজ্ঞতা ব্যবসায় খুব কাজ দিয়েছিল।
সুফী মিজানুর রহমান : অবশ্যই। স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে শুরু করলাম ব্যবসা। কারণ ব্যাংকে থাকা অবস্থায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাজ করতে করতে আমি শিখে গেলাম দেশে কোন পণ্যের কী চাহিদা, কোন দেশ থেকে আমদানি করতে হবে, কখন কিনলে কম দামে কেনা যাবে, শুল্ক কাঠামো কী ইত্যাদি। অর্থাৎ 'আই কুড লার্নড ভেরি প্রপারলি'। যেমন শবেবরাতে মোমবাতি বেশি চলে। সেই ব্যবসাও আমি করেছি।
কালের কণ্ঠ : প্রথম কী আমদানি করেছিলেন? তাতে কত টাকা লাভ হয়েছিল।
সুফী মিজানুর রহমান : ১৯৭২ সালে বিশেষ অনুমতি নিয়ে ব্রিজস্টোন টায়ার আমদানি করেছিলাম জাপান থেকে। বিনিয়োগ ছিল চার হাজার ডলার। সে সময় প্রতি ডলারের মূল্যমান ছিল ১১ টাকা। অর্থাৎ ৪৪ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে লাভ করেছিলাম এক লাখ টাকা। এত টাকা নিয়ে বাসায় যাওয়ার পর স্ত্রী হতবাক হয়ে যান। আমাকে প্রশ্ন করে, কোথায় পেলাম এত টাকা? ঘরে টাকা রাখার জায়গা ছিল না, রেখেছিলাম মুড়ির টিনে।
কালের কণ্ঠ : আমদানি আর কেনা-বেচার ব্যবসার পর কখন ঢুকলেন শিল্প স্থাপনে?
সুফী মিজানুর রহমান : ১৯৮২ সাল। দেখলাম নিত্যপণ্য আমদানির ব্যবসায় সারাবিশ্বে মন্দা চলছে। হিসাব করে দেখলাম আমার হাতে তখন প্রায় ২০ কোটি টাকা জমে গেছে। প্রথম সীতাকুণ্ডের বঙ্গোপসাগর উপকূলে শিপইয়ার্ড দিলাম। 'ওশান এসি' নামে একটি পুরনো জাহাজ এনে কেটে বিক্রি করে লাভ পেলাম দুই কোটি টাকা। লাভের পর দিলাম রি-রোলিং মিল। তারপর ১৯৮৪ সালে মংলা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়ার্কস নামে দেশের প্রথম বিলেট তৈরির কারখানা দিলাম। তাতেও দেখছি অনেক লাভ।
কালের কণ্ঠ : এত লাভের টাকায় আপনার মাথা ঘুরে যেত না।
সুফী মিজানুর রহমান : না। তবে তখন আমার পার্টনারের ভূমিকায় বেশ কষ্ট পাচ্ছিলাম। অভিমানও হচ্ছিল। তার পরও নতুন শিল্প গড়ার দিকে বেশি মনোযোগী হলাম। ১৯৮৬ সালে ঢাকায় করলাম ঢেউটিনের কারখানা। সব মিলিয়ে তখন আমাদের আটটি কারখানা। ১৯৯৩-৯৪ সালের দিকে আমি বাংলাদেশের ঢেউটিনের ব্যবসায় শীর্ষে ছিলাম। মানুষ ব্যাংকের পেছনে ঘুরত ঋণের জন্য। আর তখন ব্যাংক আমার পেছনে দৌড়াত ঋণ দেওয়ার জন্য।
কালের কণ্ঠ : কী সে কষ্ট?
সুফী মিজানুর রহমান : আমার সাত ছেলে এক মেয়ে। ১৯৯২ সালের দিকে ছেলেরা পড়াশোনা করে দেশে ফিরতে শুরু করেছে। স্ত্রী বললেন, সব শিল্পকারখানা কি ঢাকায় করবেন, চট্টগ্রামে কিছু করবেন না? কারণ আমি থাকতাম চট্টগ্রামে। ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রামের কুমিরায় গড়লাম সিআর কয়েল কারখানা। দুই বছর পর পার্টনার ও নিকটাত্মীয় রোকনউদ্দিন মোল্লাকে ছেড়ে চলে এলাম। একই বছরের ২২ জুলাই গড়লাম আজকের পিএইচপি গ্রুপ। ইংরেজি শব্দ পি মানে পিস, এইচ মানে হ্যাপিনেস, পি মানে প্রসপারিটি। যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধির ছায়া। আমেরিকা থেকে পড়াশোনা শেষ করে আসা আমার মেজ ছেলে ইকবাল হোসেন পিএইচপির অর্থ শুনে খুশিতে লাফিয়ে উঠল। এর লোগো তৈরি করে আমার ছোট ছেলে আকতার পারভেজ হিরু। সে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানভেরা ইউনিভার্সিটি থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে পড়াশোনা করেছে। আমি যখন চট্টগ্রামে নিজে কারখানা করি তখন পার্টনারের সঙ্গে কেন জানি দূরত্ব তৈরি হয়। আরএম গ্রুপ নামে আমাদের এই অংশীদারি ব্যবসায় তখন লাভ ছিল প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এক হাজার ৫০০ বিঘা জমি ছিল এই গ্রুপের। কয়েক হাজার টাকায় কেনা প্রতি বিঘা জমির দাম এখন ক্ষেত্রবিশেষে কোটি টাকা। অভিমান করে নিজের লাভের ভাগ না নিয়েই আলাদা হয়ে গেলাম।
কালের কণ্ঠ : কষ্টের পর মানুষের তো সুখস্মৃতিও থাকে। কোন ব্যবসায় বেশি লাভ করেছিলেন আর খুব মজা পেয়েছিলেন?
সুফী মিজানুর রহমান : সিআর কয়েলের ব্যবসায়। অনেক লাভ, অনেক টাকা, অনেক সম্মান ও অনেক মজা। চট্টগ্রাম থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে কুমিরায় এই কারখানায় কখনো কখনো একটানা ১৫ দিন পড়েছিলাম। রাতে বাসায় ফিরিনি। তাতেও কোনো কষ্ট হয়নি।
কালের কণ্ঠ : আগামীতে পিএইচপি গ্রুপ কী স্বপ্ন দেখে?
সুফী মিজানুর রহমান : আমি বেঁচে থাকি আর না থাকি ২০২০ সালে পিএইচপি গ্রুপ হবে বাংলার টাটা। ভারতীয় টাটা হলো বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় লৌহজাত সামগ্রীর শিল্প-প্রতিষ্ঠান। পিএইচপি বাংলাদেশে তেমনি খনির আকরিক লোহা থেকে একদম শেষ পণ্য বানানোর কারখানা গড়বে। পিএইচপিতে যাঁরা কাজ করবেন তাঁদের সবার থাকবে বাড়ি-গাড়ি। ঋণ দেব, জমি দেব, ফ্ল্যাট বানিয়ে দেব। আমাদের গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সুইপার পর্যন্ত সবার মুখে হাসি দেখবেন। এখানে কাজটাকে তাঁরা উপভোগ করেন। কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী মারা গেলে তাঁর পরিবার স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত আমাদের গ্রুপ তাঁদের সহায়তা দেয়। একটি উদাহরণ দিই। আয়ুব নামে একজন কর্মকর্তা মারা গেছেন। গ্র্যাচুইটি প্রভিডেন্ট ফান্ড ছাড়াও কম্পানি তাঁর পরিবারকে ব্যবহারের জন্য গাড়ি দিয়েছে। মাসিক এক লাখ টাকা করে ভাতাও দেয়।
কালের কণ্ঠ : উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সাহস কীভাবে করেন?
সুফী মিজানুর রহমান : আমার সাত ছেলে এসব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে। আমি তাদের সেরকম যোগ্য করে গড়ে তুলেছি।
কালের কণ্ঠ : বাংলাদেশের বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত সাত ভাই একসঙ্গে থাকতে পারব তো?
সুফী মিজানুর রহমান : আমার বিশ্বাস তারা পারবে। তাদের আমি বিদ্যার সঙ্গে বিনয় শিখিয়েছি। শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষা দিয়েছি। ক্যারিয়ারের সঙ্গে ক্যারেক্টার। আমার প্রতিষ্ঠানে এমন কর্মকর্তাও আছেন যাঁরা আমার ছেলেদের অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের 'তুমি' বলে সম্বোধন করে। আমার ছেলেরা তাঁদের 'কাকু' বলে সম্মান করে সালাম দেয়। বছরে দুইবার প্রত্যেক ছেলে তাদের পরিবার নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবে_এ নিয়ম করে দিয়েছি। এর থেকে বেশিবার কেউ যেতে চাইলে নিজের টাকায় যাবে।
কালের কণ্ঠ : আপনি অনেক ভাষায় পারদর্শী, এই ভাষাজ্ঞান ব্যবসার অগ্রগতিতে কাজে লেগেছে কি না?
সুফী মিজানুর রহমান : ভাষা হলো অলংকার। আমি মাতৃভাষা বাংলা ছাড়াও হিন্দি, উর্দু, ফার্সি, আরবি, ইংরেজিসহ ছয়টি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারি। আমাদের ভাষাবিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ৩১টি ভাষা জানতেন। আমি বিদেশিদের সঙ্গে যখন তাঁদের ভাষায় কথা বলি তখন তাঁরা খুব উৎসাহবোধ করেন। এতে সহজেই আমি তাদের আপন হয়ে যাই। ব্যবসার ক্ষেত্রে আমার এই ভাষাজ্ঞান বিশেষ কাজে লেগেছে, এতে অনেক সুবিধা পেয়েছি।
কালের কণ্ঠ : শিল্পপতি হিসেবে সফল হওয়ার পর রাজনীতিতে আসতে ইচ্ছে করে না?
সুফী মিজানুর রহমান : আমি আওয়ামী লীগের হয়ে বিএনপির বিরাগভাজন হতে চাই না। আবার বিএনপি করে আওয়ামী লীগের অপছন্দের পাত্র হবো কেন? আমি সব সময় সরকারি দলের লোক। কোনো দল না করলেও রাজনীতির প্রতি আমার অগাধ আস্থা। দেশ চালাবে রাজনীতিবিদরাই। মিলিটারিরা দেশ চালাতে পারে না। পাকিস্তানই তার বড় দৃষ্টান্ত। আবার যারা রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করে সেটি প্রতারণাই শামিল।
কালের কণ্ঠ : তরুণ প্রজন্মের কেউ যদি পিএইচপির চেয়ারম্যান সুফী মিজানুর রহমানের মতো হতে চায়?
সুফী মিজানুর রহমান : তরুণ প্রজন্মকে আমি মনে করি মহাবিশ্বের মহাবিস্ময়। অসীম ক্ষমতার উৎস তাদের কাছে। আমাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য সারা দেশে ২৫০ জন ডিলার আছে। ১০ বছরের ব্যবধানে এরা সবাই এখন কোটিপতি। বলতে গেলে এদের অনেকেই ছিল একসময় রাস্তার মানুষ। এভাবে মানুষকে বড় হতে শেখানোই আমার জীবনের দর্শন।

No comments:

Post a Comment